সিদ্ধিরগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রদলনেতা সাগরের সংবাদ সম্মেলন
‘অস্ত্রধারী সোহাগ বিএনপি ও ছাত্রদলর কেউ না’
বাংলাবাজার বার্তা ডেস্ক :
প্রকাশ: ০০:৫১, ৯ মার্চ ২০২৫ | আপডেট: ০০:৫১, ১০ মার্চ ২০২৫

গত দুদিন আগে সিদ্ধিরগঞ্জে ঘটে যাওয়া রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের দিন অস্ত্র হাতে গুলি ছোড়া সোহাগ বিএনপি ও ছাত্রদলের কেউ না বলে দাবি করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর। গতকাল শনিবার (৮ মার্চ) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন, আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, অস্ত্রধারী সোহাগ বিএনপি, ছাত্রদল সহ অঙ্গসংগঠনের কোনো পদে নেই কিংবা সে কখনোই বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত নয়। ছাত্রদল তথা বিএনপি কখনোই অস্ত্র ও সন্ত্রাসের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। অস্ত্রধারী সোহাগকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবিও জানান তিনি।
সাগর এসময় বলেন, ঐদিন আমি ব্যক্তিগত কাজে সোনারগাঁয়ে অবস্থান করছিলাম। হঠাৎ আমি ফোন পাই নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মো. মানিক ও সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোহনকে আওয়ামীলীগের অঙ্গসংগঠন যুবলীগের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সভাপতি মতিউর রহমান মতির সন্ত্রাসী বাহিনী রামদা-চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে ফেলে রেখেছে।
এই হামলায় অংশ নেয় পাবনাই বাবু, বুইট্টা রনিসহ আওয়ামীলীগের বিপুল সন্ত্রাসীরা। খবর পেয়ে আমি সরাসরি থানায় অবস্থান করি। এই সংঘর্ষে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
ঘটনার সুত্রপাত সম্পর্কে তিনি জানান, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের সভাপতি মতির অন্যতম সহযোগী, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের হত্যা মামলার আসামী মোহাম্মদ মুন্নাকে এলাকায় দেখতে পেয়ে ছাত্রদলের নেতারা ধরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। তাকে থানায় হস্তান্তর করার কারণেই আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা ষড়যন্ত্রের ছক কষতে থাকে।
এরই ধারাবাহিকতায় তারা সেদিন মোহন ও মানিকসহ ছাত্রদলের অসংখ্য নেতাকর্মীদের উপর বর্বর হামলা চালায়। এই হামলার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিলো, এই হামলায় ভয় পেয়ে বিএনপির আর কোনো নেতাকর্মী যাতে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীদের দিকে চোখ তুলে তাকাতে না পারে।
এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন সংঘর্ষের দিন আহত হওয়া মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মো. মানিক, সিফাতুর রহমান রাজু, সাবেক ১ম সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোহন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি প্রমুখ।