প্রথম রোজায় বাজারের চিত্র

নাঃগঞ্জে ক্রেতারা হুমড়ি পড়েছিল

বাংলাবাজার বার্তা ডেস্ক :

প্রকাশ: ০০:০৫, ৩ মার্চ ২০২৫

নাঃগঞ্জে ক্রেতারা হুমড়ি পড়েছিল

নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর বাজার এখন জমজমাট। ক্রেতাদের ভিড়ে ঠিকমত হাঁটা যায়না। সেহেরীতে ভাল ভাল খাবার ও ভরপুর ইফতার আয়োজন করতে বাজারে হুমড়ি খেয়ে পড়ে ক্রেতারা।  পবিত্র রমজান মাস ঘিরে নিত্যপণ্যের বাজারে বেড়েছে কেনাবেচার চাপ। অনেকেই পুরো মাসের বাজার একসঙ্গে করছেন, আবার কেউ কিনছেন এক-দুই সপ্তাহের জন্য।  রোববার (২ মার্চ) নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে জমজমাট বেচাকেনার দৃশ্য।

সরকারি দামে কখনোই সয়াবিন তেল বিক্রি হয় না। গত চার মাসে বোতলজাত সয়াবিন তেলের বাজারে সংকট তৈরি হয়েছে। নির্ধারিত মূল্য ১৭৫ টাকা থাকলেও, বাজারে তেল মিলছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়। কিছু দোকানে নির্ধারিত মূল্য মুছে ফেলার অভিযোগও পাওয়া গেছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, কৃত্রিম সংকট তৈরি করেই তেলের দাম বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।

ছোলা-পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক : রমজানের প্রধান উপাদান ছোলার সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও, ডলারের বিনিময়মূল্য বৃদ্ধির কারণে দাম কিছুটা বেড়েছে। বর্তমানে বাজারে ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১০৫-১১০ টাকা কেজিতে। তবে আমদানি বেশি হওয়ায় সংকটের আশঙ্কা নেই।

পেঁয়াজের সরবরাহও স্বাভাবিক রয়েছে। পাইকারি বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৩৫-৪২ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৬০-৬২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকার আশপাশে, আর ভারতীয় পেঁয়াজ ৬৮ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

রমজানের বাজার কীভাবে থাকবে : ব্যবসায়ীদের মতে, সরবরাহ ঠিক থাকলে রমজানে বাজার পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকবে। তবে কিছু পণ্যের ক্ষেত্রে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ানোর প্রবণতা থাকতে পারে, যা প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিয়মিত নজরদারি চালাচ্ছে।

সম্পর্কিত বিষয়:

আরও পড়ুন