তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষে জেলা
সিদ্ধিরগঞ্জে তরুণ দলের লিফলেট বিতরণ ও গণ সংযোগ
বাংলা বাজার বার্তা
প্রকাশ: ২২:১৮, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপস্থাপিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা তরুণ দলের উদ্যোগে লিফলেট বিতরণ ও গণ সংযোগ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাঝিল পানি উন্নয়ন বোর্ড গেইটের সামনে থেকে লিফলেট বিতরণ ও গণ সংযোগ শুরু করেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা তরুণ দলের সভাপতি ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ন আহবায়ক মোহাম্মদ টিএইচ তোফার নেতৃত্ব লিফলেট বিতরণ ও গণ সংযোগটি হিরাঝিল এলাকা হয়ে মিজমিজির বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে সিদ্ধিরগঞ্জ পুল হয়ে মাজার রোড দিয়ে আটিগ্রাম হয়ে আটি হাউজিং স্কুলের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে লিফলেট বিতরণ ও গণ সংযোগ কর্মসূচী সমাপ্তি করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- ইকবাল হোসেন, টিএইচ ফয়সাল, কাজী শিরিন, ফাতেমা মান্নান, জাহাঙ্গীর আলম, আল আমিন, আরিফ মোল্লা, আবুল কালাম আজাদ, একে হিরা, মাহাবুব হোসেন, জাকির হোসেন, নাসির, হারুন অর রশিদ, রবিন হোসেন, খোরশেদ, মনিরুজজামান মনির, আব্দুল করিম, কবির হোসেন মড়ল, মো: শফিকুল ইসলাম শফিক, হুমায়ুন কবির হাওলাদার, আনোয়ার হোসেন, মিন্নত আলী ভুইয়া, মো: সাদেক আলী, শিরীন আক্তারসহ নারায়ণগঞ্জ জেলা, সোনারগাঁও, রূপগঞ্জ ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতা কর্মীরা লিফলেট বিতরণ ও গণ সংযোগ কর্মসূচীতে অংশগ্রহন করেন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা তরুণ দলের সভাপতি ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ন আহবায়ক মোহাম্মদ টিএইচ তোফা বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়ন হলে আগামীর বাংলাদেশের হবে একটি সুখী, সুন্দর, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। এখন দেশের ক্লান্তি লগ্ন সময় চলছে। এখনই সময় দেশের সকল মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করার আহ্বান জানান।
তারেক রহমানের ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা হলো- (১) জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন। (২) সম্প্রীতিমূলক রাষ্ট্রসত্ত্বা (জধরহনড়ি ঘধঃরড়হ) জাতীয় সমন্বয় কমিশন ('ঘধঃরড়হধষ জবপড়হপরষরধঃরড়হ ঈড়সসরংংরড়হ') গঠন।
(৩) অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচনকালীন দল নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন। (৪) আইনসভা, মন্ত্রীসভা, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিচার বিভাগের মাঝে ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা। (৫) প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের সময়সীমা অনুর্ধ্ব পরপর দুই মেয়াদ নির্ধারণ।
(৬) বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সমন্বয়ে আইন সভায় উচ্চকক্ষের প্রবর্তন। (৭) সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন। (৮) নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার এবং সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি সংশোধন।
(৯) স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণে সকল রাষ্ট্রীয়, সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের পুনর্গঠণ ও শক্তিশালীকরণ। (১০) বর্তমান বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য জুডিশিয়াল কমিশন গঠন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনঃপ্রবর্তন ও সংবিধানের আলোকে বিচারপতি নিয়োগ আইন প্রণয়ন।
(১১) গণমুখী ও জনকল্যাণমূলক প্রশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন গঠন। (১২) মিডিয়া কমিশন গঠন করে তথ্য ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ। (১৩) দূর্নীতি প্রতিরোধে দৃশ্যমান কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ ও ন্যায়পাল নিয়োগ। (১৪) সর্বস্তরে আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা।
(১৫) আত্মনির্ভরশীল জাতীয় অর্থনীতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন গঠন। (১৬) ধর্মীয় স্বাধীনতার সর্বোচ্চ ও কার্যকর নিশ্চয়তা প্রদান। (১৭) মুদ্রাস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্যের হ্রাস-বৃদ্ধির আলোকে শ্রমজীবি মানুষের ন্যায্য মজুরী নিশ্চিত করা।
(১৮) প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ এবং নবায়নযোগ্য ও মিশ্র জ্বালানী ব্যবহারে অগ্রাধিকার দিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ খাত আধুনিকায়ন। (১৯) জাতীয় স্বার্থের অগ্রাধিকার নিশ্চিত করে বৈদেশিক সম্পর্ক উন্নয়ন। (২০) প্রতিরক্ষা বাহিনীর অধিকতর আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সকল বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখা।
(২১) প্রশাসন ও সেবা বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো স্বশাসিত ও ক্ষমতাবান করা। (২২) শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও স্বীকৃতি প্রদান। (২৩) কর্মসংস্থানকে অগ্রাধিকার দিয়ে আধুনিক ও যুগোপযোগী যুব উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন ও বেকার ভাতা প্রবর্তন।
(২৪) নারীর মর্যাদা, সুরক্ষা ও ক্ষমতায়নে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ। (২৫) চাহিদা ও জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম শিক্ষিত জনগোষ্ঠী গড়ে তোলা।
(২৬) 'সবার জন্য স্বাস্থ্য" এবং 'সর্বজনীন চিকিৎসা ব্যবস্থা কার্যকর করা। প্রাথমিক ও প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পর্যাপ্ত সংখ্যক প্রশিক্ষিত নারী ও পুরুষ পল্লী স্বাস্থ্যকর্মীর ব্যবস্থা করা এবং সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগের চিকিৎসা, শিক্ষা ও গবেষণা সুবিধা নিশ্চিত করা।
(২৭) কৃষকের উৎপাদন ও বিপণন সুরক্ষা দিয়ে কৃষি পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা। (২৮) সড়ক, রেল নৌ পথের আধুনিকায়ন ও বহুমাত্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা। (২৯) জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ এবং নদী শাসন ও খাল খননের উদ্যোগ গ্রহণ করা।
(৩০) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, মহাকাশ গবেষণা এবং আণবিক শক্তির উন্নয়ন ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা। (৩১) যুগোপযোগী, পরিকল্পিত, পরিবেশবান্ধব আবাসন এবং নগরায়ন নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।