জুলুম নির্যাতন সহ্য করেও পালিয়ে যাইনি, দুর্নীতিবাজ বাবু পালিয়েছে : রাকিব

বাংলা বাজার বার্তা

প্রকাশ: ২৩:১৫, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ২৩:১৬, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪

জুলুম নির্যাতন সহ্য করেও পালিয়ে যাইনি, দুর্নীতিবাজ বাবু পালিয়েছে : রাকিব

বিএনপি'র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) নজরুল ইসলাম আজাদ আমার বড় ভাই বিগত ১৭টি আড়াইহাজার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের উপর বাবু লীগের হামলা, মামলা ও নির্যাতনে তাদের পাশে ছিলেন বট গাছের মতো। তিনি রাজপথে নিজে নেতৃত্ব দিয়ে সবাইকে নিয়ে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রাম অংশগ্রহণ করেছিলেন।

এসকল আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে তাকে হামলা, মামলা ও জেল জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল। দুপ্তারা ইউনিয়নের পাঁচবাড়িয়া এলাকাকে এমপি বাবুর জমজমাট ব্যবসা ছিল। আমরা তো দূরের কথা প্রশাসনের কেউ তার ভয়ে এখানে আসতো না।

আমরা কিন্তু ১৭টি বছর আড়াইহাজারে জুলুম নির্যাতন সহ্য করেও টিকে ছিলাম। আমরা কিন্তু পালিয়ে যায়নি। আর দুর্নীতিবাজ ও নির্যাতনকারী বাবু কিন্তু পালিয়ে গেছে।

আড়াইহাজারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে দুপ্তারা ইউনিয়ন যুবদলের উদ্যোগে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে সম্মানিত প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা গুলো বলেন।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে আড়াইহাজার উপজেলাধীন দুপ্তারা ইউনিয়নের পাঁচবাড়িয়া এলাকায় এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন, আমার ভাই বিএনপি রাজনীতি করতে গিয়ে তিনি কারো সাথে আপোষ করেন নাই। আজকে যারা আড়াইহাজার বড় বড় কথা বলে তারা আন্দোলন সংগ্রামে কোথায় ছিলেন। তারা সরকারি দলের সাথে আঁতাত করে আড়াইহাজারে রাজনীতি করেছে। ২৮ শে অক্টোবরের পরে কিন্তু আঙ্গুর ও সুমনকে আড়াইহাজারের মাটিতে কোন বিএনপি দলে কর্মসূচি করতে দেখা যায়নি।

৫ আগস্ট এর পরে এখন তারা বড় বড় ব্যানার ফেস্টুন লাগিয়ে নিজেদেরকে ত্যাগী নেতা হিসেবে জাহির করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আর নজরুল ইসলাম আজাদ ভাইয়ের বিরুদ্ধে তারা বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে। শুধু আজাদ ভাইয়ের না তারাও আড়াইহাজার বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে তারা বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচারে লিপ্ত। এ সকল অপপ্রচারের আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, মাহমুদুর রহমান সুমন মানুষকে সম্মান দিতে জানে না। ১৮ সালে নির্বাচনে আমরা দলীয় মনোনয়ন পেয়ে উনার বাসায় গেল উনি আমাদেরকে সেই ভাবে সম্মান দেয়নি বরং অসম্মান করেছিল। সেই সময় তিনি আমাদের পক্ষে কাজ না করে তার নেতাকর্মীদেরকে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি বাবুর পক্ষে কাজ করতেও বলেছিলেন। শুধু তাই না তিনি আমার বিরুদ্ধেও নানান অপপ্রচার করেছিলেন।

সুতরাং আড়াইহাজারবাসী তার চরিত্র সম্পর্কে জেনে গেছে। আড়াইহাজারের মানুষের সুসময়ের কোকিলদেরকে আর দেখতে চায় না। বিগত সময়ে কে ছিল আড়াইহাজার বিএনপির নেতাকর্মীদের পাশে তা বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মী জানে। নজরুল ইসলাম আজাদ ভাই ও আমার পুরো পরিবারই আড়াইহাজার বিএনপি নেতা কর্মীদের পাশে ছিলাম। ইনশাল্লাহ আগামীতেও আমরা আপনাদের পাশে থাকবো।

দুপ্তারা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি তাইজুল ইসলাম তাজু'র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান এবং সিনিয়র সহ-সভাপতি তানভীর খন্দকারের যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান আব্দু, আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইউসুফ আলী ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহমেদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মতিউর রহমান মতিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবু, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আজহারুল ইসলাম লাভলু, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক, বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আড়াইহাজার উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব খোরশেদ আলম ভূঁইয়া, আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান চেয়ারম্যান, সহ-সভাপতি শাকিল মিয়া, অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আড়াইহাজার উপজেলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান আসাদ, যুগ্ম আহ্বায়ক রাজিবুল ইসলাম রাকিব, সাদেকুর রহমান সাদেক, দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোশারফ হোসেন মেম্বার, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম রতন, আড়াইহাজার উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য ও আলমগীর সাকিব, জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক এনামুল মোল্লাসহ আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

 

আরও পড়ুন