ফতুল্লায় মাদকের আসরে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন, গ্রেপ্তার ২

বাংলা বাজার বার্তা

প্রকাশ: ২২:৩৭, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪

ফতুল্লায় মাদকের আসরে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন, গ্রেপ্তার ২

ফতুল্লায় মাদক সেবন নিয়ে বিরোধের জের ধরে সজীব দেবনাথ (২৮) নামের এক যুবককে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। নিহত সজীব দেবনাথ বরগুনা জেলার সদর থানার শুশু কাঠপট্টি এলাকার আশুতোষ দেবনাথের পুত্র। গতকাল রোববার রাত সাড়ে বারোটার দিকে পাগলা তালতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত রবি (১৭) ও সাজ্জাদকে (১৮) গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত রবি ফতুল্লার পাগলা নয়ামাটি এলাকার বিজয় মন্ডলের পুত্র ও সাজ্জাদ একই থানার পাগলা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন বারেক দেওয়ানের ভাড়াটিয়া মিঠুর পুত্র।

 প্রত্যক্ষদর্শী ও ড্রেজার শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বুড়িগঙ্গা নদী থেকে পাগলা তালতলা এলাকা দিয়ে একাধিক ড্রেজারের মাধ্যমে তীরে বালু উঠানো হয়। রাত হলেই এসব ড্রেজারে স্থানীয় মাদকাসক্ত যুবকরা এসে মাদকের আড্ডা বসায়। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার রাতে সজিব, রবি ও সাজ্জাদ নামে তিন যুবক তৌহিদ ট্রেডার্সের ঘাট দিয়ে নদীতে ভাসমান পাঁচতারা নামের এক ড্রেজারে উঠে। গাঁজা সেবন অবস্থায় একসময় তিনজন তর্কে জড়িয়ে পড়ে ।

এ সময় রবি ও সাজ্জাদ মিলে সজিবকে ছুরি দিয়ে পেটে আঘাত করে। তখন সজিব চিৎকার করলে ড্রেজার শ্রমিকরা আসলে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়। তখন থানায় খবর দিলে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ রবি ও সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করে।

নিহতের বাবা আশুতোষ দেবনাথ জানান, মিরপুরের একটি মেসে থেকে একটি কোম্পানিতে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তার ছেলে সজিব ঢাকা মিরপুরস্থ একটি ঔষধ কোম্পানীতে চাকুরি করতো। এক বছর পূর্বে চাকুরি ছেড়ে দিয়ে গ্রামের বাড়ীতে চলে যায়।

দুই মাস পূর্বে তার ছেলে মিরপুর তার নিকট চলে আসেন। এক মাস পূর্বে কাঁচামালের আড়তে যোগদানের কথা বলে ফতুল্লার পাগলায় চলে যান। তখন থেকে তার ছেলে ফতুল্লায় থাকেন। রোববার ভোর ৪ টার দিকে পুলিশের মাধ্যমে তার ছেলের মৃত্যুর সংবাদ পান।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শরিফুল ইসলাম জানান, মাদক সেবনের একপর্যায়ে তাদের মধ্যে মারামারি ও ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সজীব দেবনাথ। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরও পড়ুন