দলে কোন চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারী, মাদক ব্যবসায়ীর জায়গা নেই : টিপু
জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলেন : সাখাওয়াত
বাংলাবাজার বার্তা ডেস্ক :
প্রকাশ: ২৩:৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ | আপডেট: ২৩:৩৩, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার যুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলেন। আর যারা নিজেদেরকে স্বাধীনতার ঘোষণা দাবি করেন তিনি কিন্তু পশ্চিমাদের হাতে আত্মসমর্পণ করেছিল। আর আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতারা কিন্তু সেই সময় ভারতে পালিয়ে গিয়েছিল। সেই সময় কিন্তু বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেওয়ার সময় কেউ ছিলনা। যখন বাংলাদেশের মানুষ একটি নেতৃত্বশুন্য অবস্থায় তখনই একজন অক্ষত মেজর বাংলাদেশের হাল ধরেন এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা দেন । তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়ে ক্ষান্ত থাকেননি। জেডফোর্স গঠন করে ৮নং সেক্টরে কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করে রণাঙ্গনে যুদ্ধ দেশকে স্বাধীন করেছিলেন।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী ও বিএনপি'র চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির উদ্যোগে দোয়া মাহফিল ও শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন। রবিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেল তিনটায় শহরের মিশন পাড়া হোসিয়ারি কমিউনিটি সেন্টার প্রাঙ্গনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেছেন, আমি মহানগরীর সকল নেতাদের বলব কাঁদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করুন। শহীদ জিয়াউর রহমান বারবার বলেছেন দলে কোন চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারী, মাদক ব্যাবসায়ীর জায়গা নেই। আসুন আমরা শপথ করি। দলের ভেতর যত বড় দালালই ঘাপটি মেরে থাকুক। সে যত বড় সন্ত্রাসী হোক, আমরা তাদের প্রশ্রয় দেবো না।
তিনি আরো বলেন, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক। তিনি ১৯ দফার মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষকে মুক্তির সনদ এনে দিয়েছিলেন। যারা বাংলাদেশকে ভালবাসে বাংলাদেশী আদর্শে বিশ্বাসী তাদের সকলকে জিয়াউর রহমানের আদর্শকে লালন করতে হবে। শহীদ জিয়ার জন্ম না হলে হয়ত আমরা বাংলাদেশ পেতাম না। একটি তলাবিহীন ঝুড়িকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমরা পৃথিবীর বুকে পরিচয় করিয়ে দিতে পারতাম না।
এড. সাখাওয়াত হোসেন আরো বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের পরে কিন্তু সে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ব্যারাকে চলে গিয়েছিলেন। এরপর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে এদেশে বাকশাল কায়েম করেছিল। বাকশাল মানে বাংলাদেশের শুধু একটি মাত্র রাজনৈতিক দল থাকবে আর কোন দল থাকবে না। বাকি সব রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। চারটি পত্র পত্রিকা বাদে বাকি সব পত্রিকা গুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এড. জাকির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন আনু, ফহেত মোহাম্মদ রেজা রিপন, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এড. রফিক আহমেদ, ডা. মজিবুর রহমান, এড. এইচএম আনোয়ার প্রধান, মাহবুব উল্লাহ তপন, বরকত উল্লাহ, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ, মহানগর শ্রমিকদলের আহ্বায়ক এস এম আসলাম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাখাওয়াত ইসলাম রানা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মির্জা কামাল উদ্দিন জনি, মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়নাসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।