বিএনপির নেতাকর্মীসহ সাধারন ছাত্রজনতার
প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন আনিসুল ইসলাম সানি
বাংলা বাজার বার্তা
প্রকাশ: ০০:৪৪, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ১২:৪৭, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর সারাদেশে শেখ মুজিবের ম্যুরাল ভেঙ্গে ফেলা হলেও একমাত্র নারায়ণগঞ্জ জেলার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে থাকা শেখ মুজিবের ভাস্কর্যগুলো অক্ষত অবস্থায় ছিলো। যার মধ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জেলা শিল্পকলা একাডেমী, নারায়ণগঞ্জ ক্লাব, শেখ রাসেল নগর পার্ক, বাপ্পী স্মরণী ছিলো উল্লেখযোগ্য।
অথচ ২০২৩ সালে রমজান মাসে চাষাড়ায় অবস্থিত শহীদ জিয়া হলে থাকা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ম্যুরালটি রাতের অন্ধকারে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভেঙ্গে ফেলে। যা নারায়ণগঞ্জ সহ সারা বাংলাদেশের বিএনপির নেতাকর্মীসহ সাধারন মানুষের হৃদয়ে রক্তক্ষরন হয়। ৫ আগস্টের পর থেকে দীর্ঘসময় যাবৎ নারায়ণগঞ্জে শেখ মুজিবের ভাস্কর্যগুলো অক্ষত থাকার বিষয়টি কোনভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না বিএনপির নেতাকর্মী সহ ছাত্র জনতা।
সর্বশেষ গত ৭ নভেম্বর চাষাড়াস্থ শহীদ জিয়া হল চত্তরে প্রায় ১৬ বছর পর অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ জাসাসের জনসভায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসককে অক্ষত থাকা শেখ মুজিবের ভাস্কর্য সরিয়ে নিতে সাতদিনের আল্টিমেটাম দেন কেন্দ্রীয় জাসাসের অন্যতম যুগ্ম আহ্বয়ক নারায়ণগঞ্জ বিএনপির অন্যতম নেতা আনিসুল ইসলাম সানি। আল্টিমেটামে তিনি জেলা প্রশাসকের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা জানি আপনি ছাত্রলীগের ক্যাডার ছিলেন। যেখানে সারা বাংলাদেশ থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের মূর্তি অপসারণ করা হলো, সেখানে আপনি খুব সুন্দর ভাবে মূর্তি রেখে দিয়েছেন, এমনকি কাপড় দিয়েও ঢেকে রেখেছেন।
আমাদের দাবি যে মূর্তি আপনি গোপন এবং যত্ন সহকারে ঢেকে রেখেছেন সেই মূর্তিটি অপসারণ করতে হবে সাত দিনের মধ্যে। যদি এই এক সপ্তাহের মধ্যে শেখ মুজিবুর রহমানের মূর্তি অপসারণ না করা হয় তাহলে আমরা কার্যালয় ঘেরাও করে মূর্তি ভেঙে ফেলবো। শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার কোন মুহূর্তে আমরা নারায়ণগঞ্জ জেলায় থাকতে দেবো না। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে মূর্তি অপসারণ করা না হয় তাহলে সে মূর্তি ভেঙে দেবো এবং এর দায়িত্ব আপনাকে নিতে হবে। প্রশাসনের মধ্যে এখনো কিছু স্বৈরাচারী সরকারের দোসরা রয়ে গেছে। ছাত্র আন্দোলনে আপনাদের ভূমিকা কি ছিল সেটা নারায়ণগঞ্জবাসী জানে। এখনো সময় আছে সাবধান হন, না হলে পরিণতি ভালো হবে না।
পরবর্তীতে এক সপ্তাহের আল্টিমেটামে শেখ মুজিবের ভাস্কর্য সরিয়ে না নেয়ায় গত ২৯ নভেম্বর শুক্রবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করে শেখ মুজিবুর রহমানের মুর্তি ভেঙ্গে ফেলেন আনিসুল ইসলাম সানির জাসাসের কর্মীবাহিনী। পরের দিন ৩০ নভেম্বর শনিবার নারায়ণগঞ্জের এলিট শ্রেনীর ক্লাব ‘নারায়ণগঞ্জ ক্লাব’ ও জেলা শিল্পকলা একাডেমীর শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল কালো কালি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। এরপরদিন ১ ডিসেম্বর শেখ রাসেল নগর পার্ক ও বাপ্পী স্মরণীর ম্যুরাল ভেঙ্গে ফেলা হয়।
এদিকে, আনিসুল ইসলাম সানির এমন সাহসী ভূমিকায় দলীয় নেতাকর্মী সহ ছাত্রজনতার প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। আর এতে করে চাষাড়া জিয়া হলে থাকা শহীদ জিয়াউর রহমানের ম্যুরালটি ভেঙ্গে ফেলার পর যে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছিলো সকলের মনে তা অনেকটাই লাঘব হয়েছে সানির বলিষ্ঠ ভূমিকার কারনে।