সোনারগাঁয়ে রয়েল রির্সোট অডিটোরিয়ামে ক্যাম্পেইন

ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য উন্মুক্ত থাকবে : সারজিস

বাংলাবাজার বার্তা ডেস্ক :

প্রকাশ: ২২:৫৪, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | আপডেট: ২২:৪৮, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য উন্মুক্ত থাকবে : সারজিস

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ' ফ্যাসিস্টদের বিরোধী ছাত্রদের যে নতুন রাজনৈতিক দল হবে, সেই দলে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। আমাদের লড়াইয়ে খুনি হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। খুনি হাসিনা নিজে বাঁচার জন্যে এবং পরিবারকে বাঁচানোর জন্যে পালালেও তার নেতাকর্মীদের নিয়ে যাননি।

এককথায় খুনি হাসিনা তার দলীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগকে টিসুর মতো ব্যবহার করেছেন। এখন অনেকে রাজনীতি করছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মের ব্যানারে। এখন চেনার সময় হয়েছে।

আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে কেউ ক্ষমতার অপব্যবহারের চেষ্টা করলে দেশে আরেকটা গণবিপ্লব হবে। তার দাবি, আগামী নির্বাচন হতে হবে ৫৩ বছরের ইতিহাসে সম্পূর্ণরূপে নিরপেক্ষ।

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রির্সোট অডিটোরিয়ামে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ এবং নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বাস্তবায়নের লক্ষে জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সোনারগাঁও উপজেলা আয়োজিত ‘আপনার চোখে নতুন বাংলাদেশ’ শীর্ষক  ক্যাম্পেইনে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য তুহিন মাহামুদ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নারায়ণগঞ্জের যুগ্ম আহবায়ক শাকিল সাইফুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক জাহিদুল হক বাঁধন,সদস্য অনিক খাঁন সিয়াম সহ জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন স্থানীয় নেতাকর্মী, শহীদ পরিবার ও আহতরা উপস্থিত ছিলেন।

ফেব্রুয়ারি মাসেই দেশে ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা হবে জানিয়ে সারজিস বলেন, যদি সুষ্ঠ নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দল ৩০০ আসনও পায় এতে আমরা কিছু মনে করবো না। যারা গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছে তারাই নতুন বাংলাদেশের নেতৃত্বের সামনের সারিতে থাকবে। 

তিনি বলেন, খুনি হাসিনা লেজ গুটিয়ে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছে। সে শুধু নিজের মুখেই না, দলের নেতাকর্মীদের মুখেও চুনকালি মাখিয়েছে। সেটা থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া প্রয়োজন। আমাদের রাজনৈতিক দল এই ফেব্রুয়ারি মাসেই আসছে। আমাদের অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা রয়েছে।

বিগত ১৬ বছর যে চর্চাগুলো ছিল আমরা এখন আবার সে চর্চাগুলো নতুন করে দেখতে পারছি। স্পষ্ট কথা যারা এসব চর্চাগুলো করে এসেছে তাদের রক্তে ওই চর্চা একদম মিশে গেছে। সেই চর্চা থেকে বের হয়ে আসতে তাদের নেতৃত্ব দিতে হবে যারা এ অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছিল।

সোনারগাঁয়ের শিল্প নগরীর বিভিন্ন জায়গায় দখলদারিত্ব যা ছিল তাই আছে। বিভিন্ন প্লট থেকে শুরু করে যতো টাকার ভাগ বাটোয়ারা হতো এখন তার চেয়ে কম হয়না বরং আরও বেশি হয়। মনে রাখতে হবে অভ্যুত্থানের লড়াইয়ে ৫-৬ জুনে আমরা ৫০০ জনও রাজপথ ছিলাম না।

কিন্তু ৫ আগস্টে আমরা ৫ কোটি মানুষ পুরো বাংলাদেশের রাজপথে নেমেছিলাম। এ জন্য সময় দিতে হবে, সাহসিকতার সঙ্গে রাজপথ থাকতে হবে।

বিগত ১৫-১৬ বছরে কোন নেতাকে কাছে পেয়েছেন এবং কোন নেতা আত্মগোপন কিংবা দেশের বাহিরে থেকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সুবিধা আদায় করেছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বহু নেতা আছে যাদের বিগত ১৬ বছর জনগণ খুঁজেও পায়নি। তারা এখন নতুন করে নতুন রূপে এ বাংলাদেশে এসেছেন। তারাই এখন আপনাদের মাঝে হাত গোলাচ্ছেন।

কঠিন সময়ে যাদের পাশে পাওয়া যায়নি তাদের নেতা হিসেবে মেনে নেওয়ার দয়া দেখাবেন না। যদি তা দেখান তাহলে শেখ হাসিনা যেভাবে কঠিন সময়ে তার নেতাদের ফেলে পালিয়েছে আপনাদের অবস্থাও একই হবে। আপনাদের ফেলে অনেক নেতা আবার জান নিয়ে পালাবেন।'

সম্পর্কিত বিষয়:

আরও পড়ুন