শামীম ওসমানের ১২৬ কোটি টাকা কর ফাঁকি তদন্তের নির্দেশ

বাংলাবাজার বার্তা ডেস্ক :

প্রকাশ: ০১:২৫, ১৯ মার্চ ২০২৫

শামীম ওসমানের ১২৬ কোটি টাকা কর ফাঁকি তদন্তের নির্দেশ

শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে বিটিআরসি’র ১২৬ কোটি টাকা কর ফাঁকি দেয়ার অভিযোগটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে মহামান্য হাইকোর্ট। গতকাল মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি সিকদার মাহমুদুর রাজীর বেঞ্চ এক রিটের বিপরীতে এ আদেশ দেন।

আদেশ পাওয়ার ৩ মাসের মধ্যে তদন্ত করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান রিটকারীর পক্ষের আইনজীবী শিশির মনির।

জানা গেছে, ২০১৩ সালের ৪ আগস্ট ওসমান পরিবার ‘কে টেলিকম’র মালিকানা সাখাওয়াত হোসেন, সিলেটের স্কুলশিক্ষক দেবব্রত চৌধুরী ও বগুড়ার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারী রাকিবুল ইসলামের নামে হস্তান্তর করে। বিটিআরসির ১২৬ কোটি টাকা ফাঁকি দিতে শামীম ওসমান এ তিনজনকে মালিক সাজিয়েছিলেন।

এদিকে, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর নারায়ণগঞ্জ শহরছাড়া শামীম ওসমান ও তার পরিবারের সদস্যরা। তারা বিদেশে পালিয়ে গেছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।

‘কে টেলিকম’ নামে একটি কোম্পানি, যার মালিকানার সাথে শামীম ওসমান ও তার স্ত্রী, ছেলের নাম রয়েছে, ওই কোম্পানির মাধ্যমে বিটিআরসি’র ১২৬ কোটি টাকা কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠে। এই বিষয়ে হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন সাখাওয়াত হোসেন নামের এক ব্যক্তি। তার সেই আবেদনের শুনানিতে তদন্তের আদেশ দেয় হাই কোর্ট।

আইনজীবী শিশির মনির বলেন, “ওসমান পরিবারের জালিয়াতির ঘটনা তদন্ত করে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে হাই কোর্ট। কে টেলিকমের মালিক ছিল নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের পরিবার। শামীম ওসমানের স্ত্রী সালমা ওসমান ও ছেলে ইমতিনান ওসমানের নামে ২০১২ সালে ১৫ বছরের জন্য কে টেলিকমের লাইসেন্স নেওয়া হয়।”

সম্পর্কিত বিষয়:

আরও পড়ুন