টানা বৃষ্টিতে নারায়ণগঞ্জের জনজীবন বিপর্যস্ত
বাংলা বাজার বার্তা
প্রকাশ: ০০:১৮, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪
বৈরী আবহাওয়ার কারণে নারায়ণগঞ্জে টানা তিনদিনের বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বেড়েছে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ। শহরে সীমিত আকারে যানবাহন চলাচল করলেও মানুষের উপস্থিতি কম।বৃহস্পতিবার সকালের বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কমে স্বস্তি এলেও ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী সাধারণ মানুষ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। অনেকেই আজ বাসা থেকে বের হতেই বিপদে পড়েছেন।
বৃষ্টির কারণে যানবাহন সংকট, রিকশা ভাড়া বেশিসহ নানামুখী সমস্যায় পড়তে হয়েছে অনেককেই। অনেককেই ভিজে ভিজে অফিসে যেতে দেখা গেছে।মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দিনভর থেমে থেমে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
এদিকে সাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপের প্রভাবে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাতের কারণে সমুদ্রবন্দরগুলোকে তিন (৩) নম্বর এবং নদীবন্দরে এক (১) নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাত থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয় এ জেলায়। এরপর থেকে টানা তিনদিন কখনো মুষলধারে আবার কখনো থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। টানা বর্ষণে শহরের বেশ কয়েকটি সড়কে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের মাঠ বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে।
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না অনেকেই। তবে জীবিকার তাগিদে বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঘর থেকে বের হয়েছেন রিক্সা ও অটোচালকরা। কিন্তু শহরে মানুষের উপস্থিতি কম হওয়ায় যাত্রী পাচ্ছেন না তারা।
শহরের বাসিন্দা রুহুল আমিন বলেন, তিনদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে নারায়ণগঞ্জে। চরম ভোগান্তিতে রয়েছি আমরা।শ্রমিক শাহ আলম বলেন, বৃষ্টির কারণে আমরা কাজে যেতে পারছি না । আমাদের সংসার চালাতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।
এদিকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে ঘর থেকে বের হতে না পেরে বেশি বিপাকে পরেছেন শ্রমজীবী মানুষেরা। শহরের বেশকিছু দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলেননি ব্যবসায়ীরা।
এছাড়া জোয়ারের সময় মেঘনা ও শীতলক্ষা অন্যান্য নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের অনেক চেয়ে বেশি উচ্চতা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।এতে করে আমনের ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। তবে কৃষিবিভাগ বলছে, ভাটার সময় পানি নেমে যাওয়ায় আমনের তেমন কোনো ক্ষতি হবে না।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরসমূহের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ১৬ জেলার ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এতে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, টাংগাইল, ঢাকা, ময়মনসিংহ, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুর, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, সিলেট এবং কক্সবাজার অঞ্চল সমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।